সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের আজিজিয়া এলাকায় ২৫০ জন বাংলাদেশি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দালালের খপ্পরে পড়ে তারা এ অবস্থার শিকার হয়েছেন। কেউ ২ মাস, কেউবা ৩ মাস, আবার কেউ ৬ মাস রুটি খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। কোম্পানি তাদেরকে কোনো কাজ দিচ্ছে না। বরং কোম্পানির সবাই এখন আত্মগোপনে। কেউই তাদের সন্ধান পাচ্ছে না।
প্রবাসী এসব শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে বাংলাদেশি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে এসেছে। তাদের সবাইকে একটি বদ্ধ বাড়িতে রাখা হয়েছে। শুরুতে তারা কাজ চাইলে মিশরীয় নাগরিকরা মারধর করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাংলাদেশিরা দূতাবাসের সহায়তা চায়।
খবর পেয়ে জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক এবং শ্রম কাউন্সিলর এম কাজী এমদাদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আইন সহকারীকে পাঠান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
কুষ্টিয়ার মো. আশরাফুল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সৌদি আরবে ভিসা হাতে পান গত মার্চে। সুদে টাকা নিয়েছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদেশ এসেছেন চার মাস হলো কোনো আয় নেই। সুদের টাকা দেবেন কোথা থেকে? এখন টাকা কোথায় পাবেন? সুদের টাকা পরিশোধের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
শুধু আশরাফুল নন, তার মতো আরও অনেকে দেশ থেকে টাকা এনে পেটের খিদা নিবারণ করছেন। তাদের চাকরি নাই, খাবার নাই, নিয়োগকর্তাও নাই। তারা এখন কোথায় যাবেন? কী খাবেন? কী চাকরি করবেন? অনেকেইজমি বিক্রি করে, কেউ ফসলসহ জমি বন্দক রেখে, আবার কেউ সুদ টাকা নিয়ে আসছিলেন জীবনে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে।